ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে দাফনের ১৮ দিন পর প্রবাসীর লাশ উত্তোলন : সঠিক বিচারের দাবি এলাকাবাসীর

এলাকাবাসীর মানববন্ধন ছবিগিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ :::

টেকনাফে মৃত্যুর ১৮দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হল এক ব্যক্তির লাশ। সুত্রে জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারী টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার মৃত আয়াছ উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে সৌদি প্রবাসী মৌলভী আনোয়ার হোসাইন তার নিজ বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু বরণ করেন। পরের দিন নিহতের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার দুই এক দিন যেতে না যেতে তার এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দেয়। এলাকাবাসীর বেশির ভাগ মানুষের দাবি, তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে তার স্ত্রী ও সহযোগীরা। আবার অনেকে বলছে সম্পত্তির লোভে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে নিহতের বড় ভাই মো: হোসাইন বাদি হয়ে নিহতের স্ত্রী সুফিয়া আফরিন লুৎফাকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রির্পোট ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রধান করেন। অবশেষে গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভুমি) তুষার আহমেদের নেতৃত্বে কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলণ করা হয়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার ওসি অপারেশন মো: শফিউল আজম, টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার শোভন দাসসহ টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই ঘটনাটি স্ব-চোঁখে দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নামে বাহারছড়া বড় ডেইল এলাকায়। তার পাশাপাশি এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করার জন্য মানববন্ধনে মিলিত হয় শত শত জনতা।

উল্লেখ্য, মৌলভী আনোয়ার হোসাইন (৪০) দীর্ঘ ১৪ বছর পর প্রবাস থেকে দেশে ফিরে গত ৮ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। গত ২০ জানুয়ারী বিকালে নিজ বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়। ২১ জানুয়ারী ময়না তদন্ত ছাড়াই তাঁকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ হোসাইন বাদী হয়ে সিআর মামলা নং- ৩৩/২০১৭ রুজু করেন। মামলায় মৌলভী আনোয়ার হোসাইনের স্ত্রী সুফিয়া আফরিন লুৎফাকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনকে আসামী করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী লুৎফারকে আটক করে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ। এরপর নিহতের স্ত্রী সুফিয়া আফরিন লুৎফার পিতা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া এলাকার হাফেজ মো. আয়ুব বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবারের বিরুদ্ধে।

এদিকে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ উপজেলায় আলোচনার ঝড় বইছে বেশ কয়েকদিন ধরে।

এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) অপারেশন শফিউল আজম বলেন, কক্সবাজার বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টার দিকে মৌলভী আনোয়ারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ ও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যাকান্ড কিনা।

পাঠকের মতামত: